বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও পানি নেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও পানি নেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়
বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে বৈশাখের দাবদাহে। এলোমেলো হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি। এ অবস্থার মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নেই ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহ। তীব্র দাবদাহের মধ্যে বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন সেসব এলাকার মানুষ।

রাজধানীর বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগ-সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে পানির সংকট দেখা গেছে।

হঠাৎ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকটের কারণ হিসেবে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েকদিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই কারণে সেসব এলাকাতে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে কিছু এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপ কম থাকায়ও এলাকাবাসীকে কিছুটা পানির সংকট পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে ওয়াসার লাইন থেকে পানি পেয়ে ওয়াসার গাড়ির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে পানি সরবরাহের অর্ডার করেও ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য ১০০০ বা ১২০০ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী বশির আহমেদ। তিনি গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না। ক্ষোভ প্রকাশ করে বশির আহমেদ বলেন, গত গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বোঝে। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। পানি ছাড়া এই গরমে এক মুহূর্তও থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় যে পানি নেই, এ বিষয়ে ওয়াসার কোনো উদ্যোগ নেই।
0 Comments